বাগমারা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাগমারায় সাংবাদিকের দায়ের করা মামলা থেকে বাঁচার চেষ্টায় মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে রক্ষিতপাড়া গ্রামের মৃত ইসরাইলের ছেলে দুর্বৃত্ত এমরান হোসেন দুলাল (৪০) নামের এক ব্যাক্তি।
গত১৯ই এপ্রিল মঙ্গলবার তার নিজ বাড়িতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাগমারা টাইমস সাংবাদিকদের দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি একজন পেশাদার সাংবাদিক মোঃ শামসুজ্জামান ডাবলু’র নামে টাকা চাওয়ার এক মিথ্যা অপপ্রচার চালায় যা পুরো সাংবাদিক মহলকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে বলে গনমাধ্যম মহলঘিরে ক্ষোভের সৃষ্ট্রি হয়েছে। সাংবাদিকের মামলা হতে বাঁচার তাগিদে নিজ ঘরে বসে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাগমারা টাইমস এর মাধ্যমে সাংবাদিকের কাছে ক্ষমা চাওয়ার নাটকীয় পায়তারা শুরু করেছে এই দুর্বৃত্ত দুলাল। পেশাদার সাংবাদিক শামসুজ্জামান ডাবলু’র নামে টাকা চাওয়ার মিথ্যা অপপ্রচার বানোয়াট, ভিত্তিহীন,ষড়যন্ত্রমূলক বলে সাংবাদিকের নামে লাঞ্চিত করার সেই দিনের অনাকাঙ্খিত ঘটনার পুরো ভিডিও ফুটেজ ও স্হানীয় সূত্রে সঠিক তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে তা জানা গেছে। এনিয়ে পুরো সাংবাদিক জাতিকে কলঙ্কিত করা হয়েছে বলে সন্ত্রাসী দুলালের সাস্তির দাবি জানিয়েছেন গনমাধ্যমকর্মি সহ এলাকাবাসী।
উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের পালোপাড়া গ্রামে সাংবাদিকদের অকারণে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করে প্রকাশ্যে জনতার সামনে হত্যার হুমকি ও হামলা করার চেষ্ঠা চালায় দুলাল নামের এক দুর্বৃত্ত। বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে পালোপাড়া গ্রামে এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দুর্বৃত্ত দুলাল বাগমারার উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের রক্ষিতপাড়া গ্রামের মৃত ইসরাইলের ছেলে দুলাল হোসেন(৪০)। সে মোহনপুর উপজেলার ধামিন নওগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ে ল্যাব সহকারি পদে চাকুরিরত। বর্তমানে সে অত্র ইউনিয়নের পালোপাড়া গ্রামে বসবাস করে থাকে।
মামলা ও স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, আউচপাড়া ইউনিয়নের পালোপাড়া গ্রামে পুকুর খনন করাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্হিত হয়ে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক সুফিয়ান ও আউচপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এর কথাপোকথন লক্ষ করে নিরবতা ভূমিকা পালন করেন। তাৎক্ষনিক বিবাদমান সমস্যা পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার টিম নিয়ে ঘটনাস্তল ত্যাগ করেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ইউনিয়ন পরিষদে নিমন্ত্রন জানিয়ে চলে যান। সেই সময় উপস্থিত জনতার সামনে সাংবাদিকদের উপস্থিতি লক্ষ করে হত্যার হুমকি সহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ দিয়ে চিল্লাফাল্লা করতে থাকে সন্ত্রাসী দুলাল। পরে উপস্থিত জনতা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে নিরাপত্তা দিয়ে ঘটনাস্তল ত্যাগ করার সহযোগিতা প্রদান করে।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ধামিন নওগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ডিএম জিয়াউর রহমান এঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। আউচপাড়া ইউপি চেয়্যারমান সাফিকুল ইসলাম সাফি বলেন, সাংবাদিকদের তুলে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ ও হামলার হুমকি এটি নিতান্তই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। যেহেতু এটার সত্যতা নিশ্চিত করতে ভিডিও আছে, সেহেতু এই দুলারের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার আছে।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ জানান, সাংবাদিক লাঞ্চিত ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানার পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ হতে অনাকাঙ্খিত ঘটনার পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হয়েছে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনাস্থলে সাংবাদিক কোন অপরাধের সাথে জড়িত নয় বলে জানতে পেরেছি। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিক নামে ভেভাস ভাষায় গালিগালাজ এর ভিডিও ফুটেজ দেখে সত্যিই আমি মর্মাহত। আসামী দুলালের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।