তানোর(রাজশাহী) প্রতিনিধি : নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের পদ থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া গোলাম রাব্বানী ও মামুন কে নিয়ে শুরু হয়েছে ফের আলোচনা সমালোচনা।তারা দীর্ঘ দিন ধরে তানোরের মাটিতে দলীয় কোন কর্মকাণ্ড করতে না পেরে সদ্য আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কে বিতর্কিত করতে বারংবার ফটোসেশান করে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন বলে মনে করছেন দলের নেতারা।শনিবার প্রেসিডিয়াম সদস্য রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন কে ফুললে শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজেদের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেওয়া মাত্রই শুরু হয়েছে তুমুল হইচই। সেই সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।এর কারনও আছে দ্বিতীয় ধাপে গত ১১নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় তানোর উপজেলার ছয়টি ইউপির নির্বাচন। এই নির্বাচনে প্রকাশ্যে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিজের ভাই সহ প্রতিটিতে বিদ্রোহী প্রার্থী দেন রাব্বানী মামুন। মুলত একারনেই তাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে সিনিয়র নেতারা। আবার অনেকে প্রেসিডিয়াম সদস্যকেউ এসব বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্যও অনুরোধ জানান।
একাধিক সিনিয়র নেতারা জানান,নিজের এলাকাতে দলীয় কর্মসূচি পালন না কর এবং প্রতিটি স্হানীয় নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এখন একজন ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিকে বিতর্কিত করতেই এসমস্ত কাজ করছেন।
উল্লেখ্য এর আগে গত বুধবারে জাতির পিতার সমাধিতে ফুললে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে যান প্রেসিডিয়াম সদস্য। সেখানেও যান রাব্বানী মামুন ও বিদ্রোহী মেয়র সাইদুর। এসব নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় ব্যপক সমালোচনা হয়।
ওই সময় স্হানীয় সাংসদ ফারুক চৌধুরী বলেছিলেন তারা বিদ্রোহ করতে গিয়ে এলাকায় সব কিছু হারিয়ে জায়গা খোজার চেষ্টা করছেন।তবে তিনি বিশ্বাস করেন সদ্য আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তাদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিবেন না।