ডেস্ক নিউজ ঃনির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোসের বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে গত ২৭ মার্চ মেয়রের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেন জেলার শংকর মিত্র নামের এক ব্যক্তি। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই ছায়া তদন্তে নামে দুদক।
এ বিষয়ে জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও দুদককে উদ্দেশ করে অমিতাভ বোসকে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা যায় সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি অডিওতে।
অভিও বার্তায় শোনা যায়, মেয়র অমিতাভ বোস দুদক ও মন্ত্রণালয়কে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করছেন। এ ছাড়া ফরিদপুর আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়েও নানা মন্তব্য করতে দেখা যায় তাকে।
তাকে বলতে শোনা যায়, ফরিদপুরে আওয়ামী রাজনীতি করতে হলে তাকে সেজদাহ দিয়ে রাজনীতি করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এই ফরিদপুর পৌরসভায় আমার চেয়ার কেড়ে নেয়ার কেউ নেই, চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলাম।’
সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশারফকে গালমন্দ করে তিনি বলেন, ‘আমি মোশারফেরও…..(গালাগাল) এখন মন্ত্রণালয়, দুদককেও…..(গালাগাল) সময় নেই।’
অডিওতে অমিতাভ বোস আরও বলেন, ‘আমার নিজস্ব বাহিনী আছে, আমার সামনে এসে দেখেন, আওয়াজ থাকবে না ফরিদপুর শহরে। এ শহরে কোনো আওয়াজ রাখতে দেব না। আমাকে সেজদাহ দিয়েই আওয়ামী রাজনীতি করতে হবে, ভাষা হলো পরিষ্কার।
‘আমি মোশারফ মিয়ার সঙ্গে খেলে এই জায়গায় আসছি, ছোটখাটো প্লেয়ার না। খেলা অব্যাহত রাখেন, খেলতে খেলতে একসময় দেখা হবে বালুকাবেলায়।’
ভাইরাল হওয়া বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পৌর মেয়র অমিতাভ বোস বলেন, ‘আমি কাউকে এমন কোনো বক্তব্যে দিইনি। যেটি ছড়ানো হয়েছে, তা সুপার এডিট করা। আমার এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বা দুদকের কেউ তদন্তের স্বার্থে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেয়র অমিতাভ বোস পেশায় ছিলেন ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী। গত পৌর নির্বাচনে মেয়র পদের দলীয় প্রার্থী হিসেবে নৌকার টিকিট পান। শপথ নেয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ ওঠে।