
মোহনপুর প্রতিনিধি : করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশের মতো রাজশাহীর মোহনপুরে চলছে কঠোর লকডাউন। এর মধ্যেই সড়কে চলাচল করেছে ব্যাটারি ও সিএনজি চালিত যানবাহন। পুলিশের অবস্থানের ওপর চোখ রেখে চলছে হাট- বাজারের দোকানপাট।
পুলিশ আসার খবরে দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, আবার পুলিশ গেলে দোকান খুলে ক্রয়–বিক্রয় করছেন ব্যবসায়ীরা। এভাবেই চলছে মোহনপুরে কঠোর লকডাউন।
মোহনপুরের সবচেয়ে বড় বাজার কেশরহাট ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের কয়েক হাজার দোকানের অধিকাংশই অর্ধেক সাটার খুলে ব্যবসা করছে। কেউ পেটের দায়ে, আবার কেউ ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে দোকান খুলছেন বলে দাবি করছেন ব্যবসায়িরা।
কেশরহাট বাজারের এক বস্ত্রালয়ের মালিক বলেন, ‘আমরা কাফনের কাপড় বিক্রি করি। তাই দোকান খোলে রাখতে হয়। লকডাউনেও আমরা মাঝে মধ্যে দোকান খুলি কাফনের কাপড় বিক্রি করতে।’
স্বর্ণ শিল্পালয়ের একজন কর্মচারী বলেন, ‘বিয়ের কাজগুলোর জন্য মাঝে মধ্যে দোকান খুলি। বিয়ের কাজ তো আটকানো যায় না। এই কাজগুলো করে দিতে হয়। নয়তো এলাকার গণমান্য ব্যক্তিদের কথা শুনতে হয়।’
কেশরহাটের ক্ষুদ্র একজন সুতা ব্যবসায়ী বলেন, ‘মাছ তরকারির টাকার জন্য ঘণ্টা খানিক দোকান খুলি। গরিব মানুষ। জমা কোন টাকা নেই।’
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযান চালিয়ে বাজারের সব দোকান বন্ধ করা হয়েছে। যারা আবার দোকান খুলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মোহনপুর উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও রাস্তায় চলাচল করছে ব্যাটারি, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল। উপজেলার কেশহাট সিএনজি স্টেশনে অটোরিকশা ও সিএনজি চালকেরা দাঁড়িয়ে ‘এই মোহনপুর, এই রাজশাহী’ বলে যাত্রী ডাকছেন।
গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মোহনপুরে বিভিন্ন সড়কে সরেজমিন দেখা যায়, সিএনজি চালিত অটোরিকশাগুলো অবাধে যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করছে।
এ ছাড়া বিশ্বরোড কেশরহাট সড়কের ওপর ১০ থেকে ১৫টি করে অটোরিকশা ও সিএনজি অবস্থান করতে দেখা যায়। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই ছিল না এসব যানবাহনে। গাদাগাদি করেই যাত্রী নিয়ে এসব বাহন উপজেলা সদর মোহনপুর ও রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছিল।