পরিমল কুমার পরাণঃ দীর্ঘ দেড় বছর পর শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার প্রেক্ষিতে আগামি ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ চালু হতে যাচ্ছে স্কুল ও কলেজ। এতে আনন্দিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে রাজধানীর শ্যামপুর ও কদমতলী থানায় অবস্থিত প্রোগ্রেসিভ, নিউ ক্যাসল, আলোর মেলা, আনন্দধারা, প্রজ্ঞা ও ইস্ট পয়েন্টসহ বেশকিছু স্কুল-কলেজ ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি স্কুল ও কলেজ চালুর সিদ্ধান্তের পরেই পরিষ্কার,পরিচ্ছন্নতা ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান গুলো। ব্যস্ততা বেড়েছে কর্মচারিদের মধ্যেও।
এ বিষয়ে ধোলাইপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হারুন- অর-রশিদ মোল্লা বলেন, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানের সবার মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে। আমরা পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে শ্রেণীকক্ষের সকল আসবাবপত্র পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছি।
সরেজমিনে অনেক স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ার-টেবিল ও মেঝে ধোয়া-মুছার কাজের ব্যস্ততার পাশাপাশি শিক্ষার্থী ভর্তি ও অভিভাবকদের উপস্থিততে সরগরম হয়ে ওঠেছে স্কুল-কলেজ গুলো। ব্রাইট স্কুলে আসা দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সানি’র অভিভাবক শামসুন্নাহার জানান,স্কুল-কলেজ খুলবে জেনে সত্যিই আনন্দিত। বাচ্চারা এবার একঘেয়েমি থেকে বের হতে পারবে। এদিকে শ্রেণীকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নে র কাজে ব্যাস্ত থাকতে দেখা যায় দনিয়া ব্রাইট স্কুলের কর্মচারি কোহিনূরকে। তিনি জানান, অনেকদিন পর স্কুল খুলতে যাওয়ায় কাজ করতে মনে আনন্দ লাগছে।
এ ব্যাপারে দনিয়া ব্রাইট স্কুল এ্যান্ড কলেজের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাসুদ হাসান লিটন ফক্সনিউজ বিডিকে জানান, স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা সত্যিই আনন্দের ও খুশির সংবাদ। আমরা প্রায়ই শ্রেণীকক্ষগুলো পরিষ্কার করি। তবে গতকাল স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণার পর থেকে নতুন ভাবে পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নসহ সব প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিশেষ করে করোনা ভাইরাস ও ডেঙ্গু থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা রাখতে সরকারের বিধি-নিষেধগুলো পুরোপুরি পালনে সচেষ্ট থাকব।
উল্লেখ্য গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ৩ মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ধাপে-ধাপে প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় বাড়ানো হয়। অবশেষে আগামি ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা আসে।