মান্দা থেকে ফিরে সারোয়ার হোসেন : নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলা ১নং ভাঁরশো ইউনিয়ন( ইউপি) নির্বাচনে নৌকা মনোনীত প্রার্থী ইউপি আ”লীগের সাধারন সম্পাদক বর্তমান জনবিচ্ছিন্ন চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান সুমনের নৌকা প্রতীক থাকলেও ওয়ার্ড পর্যায়ের তেমন নেতাকর্মীরা নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে নৌকা ভরাডুবির আশংকা করছেন তৃনমূলের ভোটারেরা।
জানা গেছে,তৃতীয় ধাপে আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভাঁরশো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ ইউপিতে নৌকার প্রার্থী সুমন ছাড়াও ইউপি আ”লীগের সভাপতি আলতাজ ঘোড়া এবং বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মোজাম্মেল আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইউপির একাধিক নেতারা জানান, নৌকার প্রার্থী সুমন চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় নানা অনিয়ম দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি কার্ড বানিজ্য গরীবের চাল আত্মসাৎ করে ব্যাপক সমালোচিত তিনি। এমনকি শনিবার সকালের দিকে চৌবাড়িয়া বাজারে নৌকার নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভাঁরশো ইউপির নেতাকর্মীরা ছিলেন না বলে স্হানীয়রা নিশ্চিত। পার্শ্ববর্তী তেতুলিয়া ইউপি ও মান্দা উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন এনে বাজার ভরিয়ে দেন।যার কারনে বাজারের ব্যবসায়ীরা আতংকিত হয়ে পড়েন।
সুমন চেয়ারম্যান একজন মাদকসেবি দুর্নীতি ও চাল চোর আখ্যা দিয়ে তাকে বর্জনের জন্য ইউপি ভোটারদের আহবান জানিয়েছেন ইউপির শীর্ষ নেতারা।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা সুমন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন ভোটারদের ভয় দেখিয়ে বলছেন ভোট দিলেও পাশ না দিলেও পাশ। তার এসব কোথার কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না জনসাধারণ।
তবে নৌকার প্রার্থী মুস্তাফিজুর রহমান সুমন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নৌকা দেওয়ার মালিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। নৌকার বিরুদ্ধে যাওয়া মানে দলের সাথে বিদ্রোহ করছেন। আসলে আমার জনপ্রিয়তা দেখে ভুলভাল কথা ভোটের মাঠে ছড়াচ্ছে। ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলতাজ জানান, বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে নৌকা পেয়েছে। তার সাথে ইউপির কোন নেতাকর্মী নেই বললেই চলে।আমাকে নেতাকর্মীদের চাপে ভোট করতে হচ্ছে। যেহেতু ধানের শীষ প্রতীক নেই। আর এসব নির্বাচন ব্যক্তি ইমেজে ভোট হয় বলে জানান তিনি।