ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে এক আইনের ছাত্রীকে জুতাপেটা করে শারীরিক নির্যাতনের দায়ে আদালতে মামলা হয়েছে।আদ্লত মামলাটি আমলে নিয়ে সুষ্ট তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ ব্যুরো ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআইকে)নির্দেশ দিয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গত ২৫ জানুয়ারী ২২ তারিখে পূর্বভাগ ইউনিয়নের কোয়রপুর গ্রামে।ওই ঘটনায় তন্নী দত্ত বাদি হয়ে লালন মিয়াকে আসামী করে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে মামলা দায়ের করে।ঘটনার বিবরনে ও মামলা সুত্রে জানা গেছে,কোয়রপুর গ্রামের আইনজিবি সহকারী শ্যামলদত্তের একটি পুকুর রয়েছে।পুকুরটি প্রতিবেশী আব্দুল হাইয়ের ছেলে লালন মিয়া ৪ বছরের জন্য লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতে শুরু করে।ঘটনার দিন শ্যামল দত্তের মেয়ে ব্রাক্ষণবাড়িয়া আইন কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী তন্নী দত্ত বড়শি দিয়ে মাছে ধরতে যায়। এ সময় তন্নী উক্ত পুকুর থেকে বড়শি দিয়ে চারটি দেশিয় পুঁটি মাছ ধরে।ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আব্দুল হাইয়ের ছেলে লালন মিয়া শ্যামল দত্তের বাড়িতে উঠে তন্নীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে উঠানে ফেলে আইনের ছাত্রী টুম্পা দত্তকে শারিরিক ভাবে নির্যাতন ও পায়ের জুতা খোলে টুস্পার দুই গালে জুতাপেটা শুরু করে।এ সময় গ্রামের প্রতিবেশি ছপিউল্লাহ,সুলতান খাঁ,বিষ্ণুপদ আচার্য্য,হানিফ মিয়া গিয়ে লালনের হাত থেকে তন্নীকে উদ্ধার করে।

তন্নী দত্ত ও তার ভাই পলাশ দত্ত জানায়,বিবাদি লালন মিয়া প্রভাবশালী হওয়া মামলার পর থেকে বাদি ও স্বাক্ষীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে।লালনের ভয়ে বাদি ও স্বাক্ষীরা আতংকে দিন যাপন করছে।তাছাড়াও লালন উল্টো মিথ্যা মাছ চুরির মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করছে বলেও জানায় ভুক্তভোগিরা।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *