
নিজস্ব প্রতিনিধি: নগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন জামালপুর এলাকায় ১১ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষক একই এলাকার মৃত জব্বার আলীর ছেলে মোঃ হেলাল আলী (৪২)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার ২৯ মে দুপুর ৩ টার দিকে বাড়ির পাশে মুদির দোকানে যাচ্ছিল চিপস কিনতে। মুদির দোকানের পাশে হেলালের টেইলার্সের দোকান রয়েছে। এ সময় হেলাল ওই শিশুকে বিভিন্ন খাবার জিনিস কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার দোকানে ভিতরে নিয়ে যায়। এরপর দোকানের শাটার বন্ধ করে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে দোকান থেকে বের করে দেয়। কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গেলে শিশুটির মা জিজ্ঞেস করে তোর পায়ে রক্ত কেন। এ সময় শিশুটির গোপনাঙ্গ থেকে ব্লিডিং হচ্ছিল। শিশুটি তখন তার মাকে সব কথা খুলে বলে। অবস্থা বেগতিক দেখে শিশুটির মা তৎক্ষণাৎ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে শিশুটি রামেকের (ওসিসি) ওয়ান স্টপ ক্রাসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এ বিষয়ে শিশুটির বাবা লিটন বলেন, আমি সিটি কর্পোরেশনে চাকরি করি, আমার বড় মেয়ে আমাকে ফোন করে খবর দেয়। খবর পেয়ে রাত ৮ টার দিকে আমি মেডিকেলে যাই। গিয়ে দেখি আমার মেয়েকে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর মেডিকেল থেকে রাত ১টার দিকে চন্দ্রিমা থানায় গিয়ে আমি নিজে বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করি। তিনি আরো বলেন, হেলাল এর আগে এ ধরনের অনেক অঘটন ঘটিয়েছে। সে একজন চরিত্রহীন, লম্পট। আমি আইনের মাধ্যমে হেলালের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই। ধর্ষক হেলালের বিরুদ্ধে একাধিক স্থানীয়দের দাবি আইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই। হেলাল একজন নিকৃষ্ট, লম্পট প্রকৃতির ছেলে। হেলালের সর্বোচ্চ শাস্তি না হলে আমরা এলাকাবাসী বৃহত্তর আন্দোলন করবো।
এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল হক মুঠোফোনে বলেন, হেলাল নামের এক ব্যক্তি একটি শিশুকে ধর্ষণ করেছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯এর১ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। মামলা নং ১৮। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।