তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে এলজিইডির রাস্তা নির্মাণে নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমাণের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার ও পরিমাণে কম দেয়া হচ্ছে। সিডিউল অনুযায়ী কোনো কাজ হচ্ছেনা। রাস্তা কার্পেটিং কাজ শেষ না হতেই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে ও রাস্তা দেবে গেছে। রাস্তার দু’ধারে দেয়া হয়নি মাটি,অনেক স্থানে বর্ষার আগে এখুনি ভেঙে গেছে। এসব কারণে রাস্তা নিয়ে কয়েক গ্রামের মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) মালশিরা গ্রাম থেকে কামারগাঁ বাজার পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলো মিটার রাস্তা নিম্নমানের বিটুমিন দিয়ে (ডাব্লিউবিএম) করে কার্পেটিং কাজ করা হচ্ছে। জানা গেছে, রুদ্র এন্টার প্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার মুকছেদ আলী অন্য ঠিকাদারের কাছে থেকে কাজটি কিনে নিয়ে করছেন।
সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাদা-মাটি পড়ে রাস্তার ডাব্লিউবিএম-এর অস্তিত্ব প্রায় হারিয়ে গিয়েছে। তার পরেও গত শনিবার থেকে রাস্তার ডাব্লিউবিএম ভাল ভাবে পরিস্কার না করে তার ওপর কার্পেটিং কাজ শুরু করা হয়েছে। এতে রাস্তার কার্পেটিং কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলে গ্রামবাসি বাধা দিয়ে সিডিউল অনুযায়ী কাজ করার কথা বললে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করার হুমকি দেয়া হয়েছে। যে কারণে নিম্নমাণের কাজ হলেও তারা আর কোনো প্রতিবাদ করতে পারছেন না। গ্রামবাসিরা জানান, কার্পেটিংয়ে নিম্নমাণের বিটুমিন ব্যবহার ও পিচ পাথর পরিমানে কম দেয়া হচ্ছে। যেকারণে কার্পেটিং কাজের পরের দিন থেকেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। ফলে এই রাস্তা নিয়ে গ্রামবাসির যে স্বপ্ন ছিল’ তা ঠিকাদারের নিম্নমাণের কাজের জন্য সেই স্বপ্ন উবে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরো বলেন, কাজে ব্যাপক ঘাপলা হচ্ছে। এর আগেও কালর্ভাট নির্মাণে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হয়েছিল, তাই কেউ আর প্রকাশ্যে এসব অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার মুকছেদ আলী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এমন হবার কথা না। আমি নিজে উপস্থিত থেকে কাজ দেখভাল করছি, কোনো সমস্যা থাকলে সমাধান করে দেয়া হবে। এবিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, তিনি সরেজমিন রাস্তার কাজ পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।