তানোর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরে রাস্তার রিপিয়ারিং কাজে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মুন্ডুমালা থেকে সাতপুকুরিয়া পর্যন্ত রাস্তার কাজে এমন অনিয়ম দূর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছে মত রাস্তা উল্টিয়ে ভিজে স্যাতসেতে মাটি ও খোয়া এবং এজিংয়ে পুরাতন ভাঙাচোরা ইট দিয়ে সাইডে ঘাস মাটি দিয়ে ভরে দিয়েছেন ঠিকাদার। এমনকি বিটুমিন ছাড়াই পোড়া মবেল দিয়ে দায়সারা কার্পেটিং করা হয়েছে রাস্তার কাজ। আবার কাজের সময় ছিলেননা কোন এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তারা। জানা গেছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের উপজেলার মুন্ডুমালা গোলচত্বর থেকে সাতপুকুরিয়া পর্যন্ত ৪১৪০ মিটার রিপিয়ারিং রাস্তার কাজটি সম্প্রতি শেষ করা হয়েছে। কাজটি পান রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার রিতু এন্টার প্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান,প্রো: কামরুজ্জামান।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটি আগেই ভালো ছিল। কারন ভিজে মাটি কাদা পর্যন্ত রোলার দিয়ে সমান করে দায়সারা কাজ করেছেন ঠিকাদার। এলজিইডি অফিসের কোন লোক ছিলনা। ঠিকাদারের লোকজন ইচ্ছে মত কাজ করেছেন। অবস্থাটা এমন দেখে মনে হয় সরকারের টাকায় কাজ হচ্ছে না, ঠিকাদার তার ব্যক্তিগত টাকায় কাজ করছে। কিছু বলা হলেও সরকারি কাজে বাধা নামে মামলা দেয়া হবে বলে স্থানীয়দের হুমকি দিয়েছিলেন ঠিকাদার।
বিশেষ করে এজিং করার সময় পূর্বের পুরাতন ইট দেয়া হয়েছে বেশির ভাগ। আবার এজিং করার পর ভিজে মাটি ও খোয়া দেয়া হয়েছে রাস্তার ভিতর পারে এবং বাহিরে শুধু মাটি ঘাস দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। যাকে বলে শুভংকরের মত ফাঁকি দেয়া হয়েছে। আবার রাস্তার অনেক জায়গা এত ভালো হয়ে আছে কোন কাজ করা লাগবে না। জানা গেছে, ৪১৪০ মিটার রিপিয়ারিং রাস্তার কাজের বিপরীতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এত পরিমান অনিয়ম হলেও দেখেও না দেখার ভান করে ছিলেন কাজের দায়িত্বে থাকা এসও শাহিনুর। তিনি জানান, সকল নিয়ম মেনে কাজ করা হয়েছে। তিল পরিমান অনিয়ম হয়নি। কাদা ভিজে মাটিও দেয়ার নিয়ম আছে কি জানতে চাইলে তিনি জানান, রাস্তায় যা থাকবে সবকিছু দিয়ে রোলার দিয়ে সমান করা হয়েছে।
ঠিকাদার কামরুজ্জামান বলেন, সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। সচিব বা নির্বাহী প্রকৌশলী এসেও কাজের ভূল ধরতে পারবে না। উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, কাজের স্থানে গিয়ে পরিদর্শন করে, নিম্মমানের সামগ্রী বা কাদা ভিজে মাটি ব্যবহার হলে পুনরায় সিডিউল অনুযায়ী কাজ বুঝে নেয়া হবে।