তানোর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরে দোকানের সামনে জোরপূর্বক অবৈধ স্থাপণা নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে প্রাণের ভয়ে অসহায় দোকানী নিজের ঘর ফেলে অন্যর দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করতে বাধ্য হয়েছেন। ভুক্তভোগী নিজের ঘর ফেলে ভাড়ায় অন্যর ঘরে ব্যবসা করতে গিয়ে চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে পথে বসেছে।
এমন জঘন্য, হৃদয় বিদারক অমানবিক ঘটনায় জনমনে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে, বিরাজ করছে উত্তেজনা। এ থেকে পরিত্রাণের আশায় আশরাফুল ইসলাম বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) আবেদন করেছেন। উপজেলার কালীগঞ্জহাট-কাঁকনহাট রাস্তার সরনজাই ইউনিয়নের (ইউপি) সরনজাই বাজারে এই ঘটনা ঘটেছে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার স্থানীয় সাংসদ ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে,উপজেলার সরনজাই ইউপির আরএস খতিয়ান নম্বর ১০২৬, হাল দাগ নম্বর ৩১০৭ পরিমাণ ২২ শতাংশের কাত ২ দশমিক ৬০ শতাংশ। ক্রয় সুত্রে উক্ত সম্পত্তির মালিক সরনজাই গ্রামের ওয়াজেদ আলীর পুত্র মুদিদোকানী আশরাফুল ইসলাম। তিনি বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রায় কুড়ি লাখ টাকা ঋণ নিয়ে সেখানে চারটি পাকা ঘর নির্মাণ করেছেন। তার ঘরের সামনে সরনজাই স্কুলের জায়গা দাবি করে জোরপুর্বক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন শফিকুল, রাজু ও তোফাজ্জুল। তাদের নেপথ্যে রয়েছে প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান। এমপির নাম ভাঙিয়ে এমন অপকর্মের কারণে সাধারণ মানুষের মাঝে এমপির ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হচ্ছে। এতে আওয়ামী লীগের আদর্শিক নেতাকর্মীরাও চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
জানা গেছে, আরএস খতিয়ান নম্বর ৯৭৭ হাল দাগ নম্বর ১১৬৩ উক্ত দাগে মোট জমি ২১ শতাংশ এর মধ্যে ৩ দশমিক ৫০ শতক জমি রাস্তার জন্য অধিগ্রহণ করেছেন সরকার। যাহার এল,এ কেস নম্বর-২০/১৯৯৯-২০০০। এসব অধিগ্রহণকৃত জমি আশরাফুলের দোকানের সামনে। এদিকে সরনজাই ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সরনজাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে অধিগ্রহণকৃত জমির ওপর জোরপুর্বক অবৈধ স্থাপনা (ঘর) নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন।এতে আশরাফুলের চারটি ঘরে যাতায়াতের পথ বন্ধ হওয়ায় ঘরগুলো কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে আশরাফুল পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। একদিকে এনজিও ঋণের কিস্তির চাপ, অন্যদিকে নিজের ঘর ফেলে ভাড়া ঘরে ব্যবসা করতে গিয়ে আর্থিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। উপজেলা ভুমি অফিস থেকে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নোটিশ করা হলেও তা আমলে নেয়নি অবৈধ দখলবাজগণ। এবিষয়ে উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার আমানত আলী বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নোটিশ দেয়া হয়েছে, কিন্ত্ত তারা আমলে নিচ্ছেন না। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সরনজাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নানের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে রাজু, শফিকুল ও তোফাজ্জুল বলেন, তারা হেড মাস্টারের কাছে থেকে অধিগ্রহণকৃত জমিতে করা দোকান ভাড়া নিয়েছেন।