তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে খাস জায়গার গাছ কেটেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় রোববার সকালের দিকে আহসান হাবিব নামের এক ব্যক্তি মামুন ও দুরুল হুদা কে অভিযুক্ত করে উপজেলা নির্বাহীর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন । এমনকি প্রভাবশালী মামুনের পক্ষে জায়গা দখল নিতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন মুন্ডুমালা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বলেও অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বাধাইড় ইউপির তেলোপাড়া মোড় সংলগ্ন খাস পুকুরের ধারে ঘটে গাছ কাটার ঘটনাটি। এমনকি মামুন ক্ষমতার দাপটে আলাউদ্দিনের ক্রয়কৃত জায়গার উপর জোরপূর্বক ভাবে মটরের পানি উত্তোলনের জন্য চারের বরিং করেছেন মামুন। এঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ীর মত সংঘর্ষ বলেও আশঙ্কা গ্রাম বাসীর।
অভিযোগে উল্লেখ, চলতি মাসের ১৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার উপজেলার বাধাইড় ইউপির তেলোপাড়া গ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিনের পুত্র মামুন আলী ও একই এলাকার দুরুল হুদা খাস জায়গায় থাকা বড় আকারের বরই ব গাছ কাটেন। অভিযুক্ত মামুন তার বাড়ির উত্তরে খাস পুকুর বাহিরের এক সমিতির নামে লীজ নিয়ে কেটেছেন একাধিক গাছ অভিযোগ রয়েছে । শুধু তাই না খাস জায়গার বরই গাছসহ আলাউদ্দিনের ব্যক্তিমালিকানা জায়গা দখল ও গাছও কেটেছেন। তিনি ওই গ্রামের প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিছু বলেনা।এজন্য তিনি যা ইচ্ছে তাই করেন।
মামুন জানান, আমার জায়গার গাছ কেটেছি মটর বসানোর জন্য বরিং করা শুরু করেছি, এমন সময় প্রতিপক্ষরা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে হয়রানি করছেন। খাস জায়গার গাছ কেটেছেন এবং আলাউদ্দিনের জায়গায় মটর বসাচ্ছেন এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, তাহলে তাদের কাছে জমির কাগজ পত্র দেখতে চান বলে এড়িয়ে যান তিনি।
আলাউদ্দিন জানান, জায়গা আমার ক্রয়কৃত, তারা জোরপূর্বক সবকিছু করছে।
অভিযোগ কারী,আহসান হাবিব জানান, খাস জায়গায় থাকা বড় বরই গাছ কাটার সময় নিষেধ করা হলেও তিনি শোনেননি। মামুন বাহিরের সমিতির নামে খাস পুকুর লীজ নিয়ে একাধিক গাছ কেটেছেন। আর তাকে সার্বিক ভাবে সকল ধরনের সহযোগিতা করেন দুরুল হুদা। যা সরেজমিনে তদন্ত করলেই বেরিয়ে পড়বে সবকিছু বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
মুন্ডুমালা তহসিল অফিসে গিয়ে জায়গার বিষয়ে খোজ নেওয়া হলে, দেখা যায় সেটি এক নম্বর খাস খতিয়ান ভুক্ত। তহসিলদার রবিউল কে গাছ কাটার বিষয়ে বলা হলে তিনি বলেন, শুনেছি ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমাকে নির্দেশ দিলে তদন্ত করার পর আসল ঘটনা জানা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান অভিযোগ হাতে পেলে তদন্ত করে ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।