তানোর প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নে (ইউপি) খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উপকারভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তালিকা প্রণয়নে রাজনৈতিক বিবেচনা ও স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নেয়ায় প্রকৃত হতদরিদ্ররা বঞ্চিত হয়েছে। ফলে বিত্তবান হোমড়াচোমরারা এসব চাল উত্তোলন করে সেখানেই বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে সরকারের মহতী উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে। এতে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে চরম ক্ষোভ-অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার কামারগাঁ ইউপির মালার মোড়ে ডিলারের নেপথ্যে মদদে উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করা চাল ডিলারের দোকানেই প্রকাশ্যে বেচাকেনা করা হচ্ছে। অথচ সেখানে একজন ট্যাগ কর্মকর্তার সার্বক্ষণিক থাকার কথা থাকলেও কেউ ছিল না। কামারগাঁ বাজারের ফড়িয়া ব্যবসায়ী মিঠুন প্রতি বস্তা (৩০ কেজি) ৯০০ টাকা দামে কিনে ডিলারের দোকানে মজুদ করে ভুটভুটি করে নিয়ে যাচ্ছেন কামারগাঁ বাজারে। সুবিধা বঞ্চিতরা বলছে, যারা এসব চালের ভায় খায় না তারা তো বিত্তশীল, তাহলে তাদের এসব চাল দিয়ে লাভ কি ? অথচ অনেক হতদরিদ্র ও ভিক্ষুক সুবিধা বঞ্চিত রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক উপকারভোগী বলেন, মিঠুনের কাছে থেকে এসব চাল আবার ডিলার নিজেই কিনে নিচ্ছেন সরকারি গুদামে সরবরাহ করার জন্য। তারা বলেন, টাকা দিয়ে কার্ড করেছেন তায় চাল বিক্রি করে টাকা নিচ্ছেন, এসব চালের ভাত তারা কখানো খায় না। এবিষয়ে জানতে চাইলে ডিলার জাকির হোসেন জুয়েল বলেন, উপকারভোগীরা যদি চাল বিক্রি করে দেয় তাহলে তার কি করার আছে, তবে তার দোকানে কোনো চাল কেনাবেচা হয় না। এবিষয়ে উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (টিসিএফ) আজাহার ইসলাম বলেন, তিনি এবিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। তবে এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হবে।