তানোর প্রতিনিধি: দেশ স্বাধীনের এতো বছর পরে ফের তানোরে মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠেছে রাজাকার মাইনুল ওরফে (মানু) রাজাকার।এমনকি একজন যোদ্ধা অপরাধী রাজাকারের হাতে দেয়া হয়েছে কৃষকের মূল্যবান সম্পাদক সার বিষের ডিলার।
বর্তমানে রাজাকার মাইনুল কে দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ বিএডিসির সার ডিলার ও সিনজেনটা কোম্পানির এজেন্ট। ফলে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে কৃষকরা বলেন, একজন মানবতা বিরোধী রাজাকার কি ভাবে এতোগুলা কোম্পানির এজেন্ট হতে পারে। কারা এইসব চিহ্নিত রাজাকারদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন তাদেরও আইনের আওতায় নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বিএডিসি ডিলার ইসলাম ট্রেডার্সের মালিক মাইনুল ইসলামের কাছে সারের বিষয়ে জানতে চাইলে দম্ভক্তি প্রকাশ করে বলেন গত বৃহস্পতিবার যা সার পেয়েছি বিক্রি হয়ে গেছে, মেমো দেখতে পারো দুএকটি মেমো দেখিয়ে তালবাহানা শুরু করেন। পরে তার ছেলে সিনজেনটা কোম্পানির ডিলার মনিরুল ইসলাম স্হানীয়দের দিয়ে নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। তিনি ব্যবসা করেন নাকি গুন্ডা বাহিনী তৈরি করছেন। বিষয়টি কৃষি দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করছি,,সেই সাথে হুমকি দাতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতেই বোঝা যাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা এখনও দেশটাকে পাকিস্তান ভেবেই চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা জানান,এই রাজাকার মাইনুল এলাকায় ব্যাপক লুটপাট, খুন রাহাজানি করে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছে। এই রাজাকার মাইনুল এক সময় খেজুর গাছে গাছে রস সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বর্তমানে রাজাকার মাইনুল অঢেল সম্পদের মালিক বুনে গেছেন। পাশাপাশি তানোরে এখন রাজাকার মাইনুলের দৌরাত্ম সবার উপরে। বিষয়টি নিয়ে মাইনুল ইসলাম (মানু) রাজাকারের সাথে কথা বলা হলে, তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তার ছেলে মনিরুল ইসলাম দম্ভোক্তি দেখিয়ে বলেন, আপনারা যতখুশি লিখেন আমার বাপ রাজাকার আলবদর কোন সমস্যা নাই। আমার বাপ একসময় রাজাকার ছিলো, এখন মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন বলে দম্ভোক্তি দেখান তিনি।