নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভার কর্তৃক অযৌক্তিক কর পরিহার, নাগরিক সেবা নিশ্চিত, হাটে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ এবং মেয়র, সচিব ও হিসাব রক্ষকের অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। জানা গেছে, ২১ নভেম্বর রোববার ‘মুন্ডুমালা পৌর জন-অধিকার স্বার্থ রক্ষা কমিটি’র উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসুচিতে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রায় সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। এদিন বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত্য পৌর সদরের মুন্ডুমালা বাজারে রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে থেকে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মুন্ডুমালা পৌর জন-অধিকার স্বার্থ রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, উপজেলা যুবলীগের সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম, সমাজ সেবক মোজাম্মেল হক, আফসারুজ্জামান প্রামানিক, এনামুল হক, লতিফ সরদার,আহম্মেদ সিজার, বদিউজ্জামান নয়ন, আরিফ রায়হান তপন ও ডালিম প্রমুখ।বক্তাগণ ৯টি সুনিদ্রিষ্ট দাবি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তারা বলেন, দ্রুত এসব দাবি পুরুণ করা না হলে পৌরবাসীদের নিয়ে তাদের দাবি আদায়ে কঠোর আন্দোলন কর্মসুচি ঘোষণা করা হবে। এদিকে শান্তিপুর্ণ মানববন্ধন কর্মসুচি পন্ড করতে মেয়রের নির্দেশে তার অনুগত রিপন মদ্যপ অবস্থায় ব্যানার ছেেঁড়ার চেষ্টা করলে সেখানে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ রিপনকে সরিয়ে নিয়ে যায়।এদিকে তাদের ৯টি দাবির মধ্য রয়েছে, অনতিবিলম্বে অযৌক্তিক কর আদায় বন্ধ, পৌর জন-অধিকার রক্ষা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে কর নির্ধারণ, কর আদায়ের আগে নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণ, অযোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারণ, অপ্রয়োজনীয় জনবল ছাঁটাই, দুর্নীতিমুক্ত পৌরসভা গঠনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ,কর নির্ধারণের পুর্বেই জন্ম-সনদ, নাগরিকত্ব ও ট্রেড লাইসেন্স ইত্যাদি প্রদানে হয়রানি বন্ধ এবং দূর্নীতিবাজ সচিব, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, হিসাব রক্ষক ও সার্ভেয়ারের অপসারণ, এছাড়াও মুন্ডুমালা পুলিশ ফাঁড়ি, ভুমি অফিসসহ সকল প্রতিষ্ঠানকে জনবান্ধব করার দাবি করা হয়। এদিকে আরিফ রায়হান তপন বলেন, কুলি সাইদুর ভোট চুরি করে মেয়র হয়েছে,তিনি বলেন, পৌরসভার কোনো উন্নয়ন না হলেও মেয়রের পাঁজেরো গাড়ী ও একতলা বাড়ী চারতলা অট্রালিকা হয়েছে,অথচ এখানে চারতলা বাড়ি নির্মাণের কোনো অনুমতি নাই,তিনি বলেন, মেয়র সাইদুর রহমান, সচিব আবুল হোসেন ও হিসাবরক্ষক আব্দুল আওয়াল সিন্ডিকেট করে পৌরসভার কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন, এমনকি মুন্ডুমালা হাটে সাধারণ ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে টোল আদায়ের নামে জোরপুর্বক গণ-চাঁদাবাজি করা হচ্ছে।