সারোয়ার হোসেন,তানোর: রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের আগামী নির্বাচনে ভোট করতে চান বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা রশিদুজ্জামান রাসেল।তিনি আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এলাকায় প্রচার প্রচারনা শুরু করেছেন। রাসেলের বাড়ি পাঁচন্দর ইউপির ইলামদহী গ্রামে। সে বীর মুক্তিযোদ্ধা অবশর প্রাপ্ত শিক্ষক জামাল উদ্দিনের ছেলে। তার নির্বাচন করার ঘোষণায় এলাকায় তরুণদের মাঝে দেখা দিয়েছে প্রান চাঞ্চল্যতা। ফলে তরুণরাও রাসেলের পক্ষে বিভিন্ন ভাবে কাজ করছেন বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছেন। এতে করে বর্তমান চেয়ারম্যান এক প্রকার বেকায়দায় পড়েছেন বলেও দলীয় নেতাকর্মীদের অভিমত। কারন বর্তমান চেয়ারম্যানের অনিয়ম দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয়তার জন্য শুধু রাসেল না একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।
জানা গেছে, রাসেল ছাত্র জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনৈতিক পথচলা শুরু। তিনি তানোর আব্দুল করিম সরকার ডিগ্রি কলেজে পড়া লেখা অবস্থায় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও বিএনপি জোট সরকারের সময় ইলামদহী বাজারে শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই সময় পাঁচন্দর ইউপি যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক ও পরে সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ জেলা শাখার সদস্য রয়েছেন।
রাসেল জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান তৃনমূলের নেতাকর্মীদের অবজ্ঞা করেন। সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই বললেই চলে। উন্নয়নের পরিবর্তে দুর্নীতি দলীয় নেতাকর্মীদের কাছ থেকে গভীর নলকূপ কেড়ে নিয়ে অধিক টাকার বিনিময়ে নিজস্ব লোকদের দেওয়া। শুধু তাই না বর্তমান ইউপি যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোসারফের কাছ থেকে ডিপ কেড়ে নিয়েছেন। বিএনপি জোট সরকারের সময় আমার নামে প্রতিহিংসা মুলুক ৪ টি মামলা হয় এবং কারাভোগও করতে হয়েছে। আপনি দলীয় মনোনায়ন না পেলে কি করবেন এমন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে জানান আমার আত্মবিশ্বাস মনোনায়ন পাব। তবে আমি না পেলেও বর্তমান চেয়ারম্যান পাবেনা বলে আমার ধারন।
তিনি আরো জানান আমার পিতা এক জন মুক্তিযোদ্ধা, সে ৭ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন।তিনি সুনামের সহিত পাইলট স্কুলের বিএসসি শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
পাঁচন্দর ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ড আ”লীগ সভাপতি ইউপি সদস্য রিয়াজ উদ্দিন, ৩নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম, ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি সাইদুর রহমানসহ একাধিক ব্যক্তিরা জানান বর্তমান চেয়ারম্যান নানা অনিয়মের কারনে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে এক প্রকল্প একাধিকবার দেখিয়ে বিল উত্তোলন, নেতাকর্মীদের সাথে সম্পর্ক না থাকা, বিশেষ বিশেষ কাজে স্বজনপ্রীতি এসব কারনে প্রার্থী পরিবর্তন করা একান্ত দরকার বলে মনে করেন ইউপির বাসিন্দারা।