তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের ( ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন আওয়ামী লীগ সরকারের ভিশনকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বিগত সময়ে যে উন্নয়নের ছোঁয়া এই পরিষদের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে স্পর্শ করেনি চেয়ারম্যান মতিন তার সময়ে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর সহায়তায় তার দ্বিগুন উন্নয়ন পৌছে দিয়েছেন গ্রামগুলোতে।।উন্নয়নের এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে এখানো রাত-দিন পরিশ্রম করছেন চেয়ারম্যান মতিন। জানা গেছে, ইউপির গ্রামগুলো বিগত সময়ে ছিলো অনুন্নত। রাতে রাস্তার পাশে ছিল না কোনো সড়ক বাতি বর্ষা মৌসুমে কাঁদার মধ্যে দিয়ে পথ চলতে হতো। জনবহুল কোনো স্থানে বিকেলে বসার মতো কোন জায়গা ছিলো না। গ্রামগুলোতে পানি নিষ্কাশনের জন্য ছিলো না কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। কিন্তু বর্তমানে প্রায় প্রতিটি গ্রামের রাস্তায় লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। সন্ধার পর রাস্তার ধারের স্ট্রীট লাইটের আলোয় আলোকিত হচ্ছে গ্রামের মেঠোপথগুলো। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে গৃহহীনদের বাড়ি প্রদান,ক্ষুদ্র নৃ-ত্বাত্তিক গোষ্ঠি ও আদিবাসি অধ্যুষিত গ্রামে বিশুদ্ধ খাবার পানি সংকট দুর করতে ট্র্যাঙ্কিসহ সাবমার্শিবুল পাম্প স্থাপন। এতে হাত বাড়ালেই সহজেই পাচ্ছেন সুপেয় পানি। এই সব কিছুই সম্ভব হয়েছে সাংসদের সহায়তায় ও চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের প্রচেস্টায়। আব্দুল মতিনের সময়ে আর সিসি ঢালায় ও ইট সোলিং রাস্তা, অসহায় ও দু:স্থদের মাঝে বিতরণ করেছেন বিভিন্ন প্রকার ভাতা কার্ড, হাট- বাজারের উন্নয়ন ও বিভিন্ন এলাকায় পানি নিষ্কাষণের জন্য আধুনিক মানের ড্রেন নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও কৃষ্ণপুর হাটে দৃশ্যমান অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এখানো প্রায় শতাধিক উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমান সরকারের ভিশন গ্রামকে শহরের সুবিধা প্রদান করার প্রতিশ্রæতি অনেকটাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে এই ইউনিয়নে। তাই আগামীতেও এই ধরনের ক্লিন ইমেজের জনপ্রতিনিধিকে নির্বাচন করতে চান এই ইউনিয়নের সাধারন মানুষরা। ক্ষুদ্র নৃত্বাত্তিক কচুয়া আদিবাসি পাড়ার বাসিন্দা শিবাসটিয়াল ও জোশেফ মুর্মুবলেন প্রায় ৩০ বছর যাবত তাদের এই গ্রামের কোন উন্নতি হয়নি। কোন মেম্বার কিংবা চেয়ারম্যান কখনোও নজর দেয়নি। কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যানের কারণে আজ আমরা ঘরে ঘরে সুপয়ে পানি ও ১০ টাকা কেজি দরে চাউল পাচ্ছি। এটি আমাদের জন্য যুদ্ধ জয়ের মতো আনন্দ। একই গ্রামের রেনুকা হাসদা বলেন আগের সময়ে ইউনিয়ন পরিষদে কোন কাজ নিয়ে গেলে মেম্বার ও চেয়ারম্যানরা পাত্তাই দিতো না। কিন্তু মতিন চেয়ারম্যানের কাছে যে কোন কাজ নিয়ে গেলে সবার আগে তিনি আমাদের কাজগুলো করে দেন। আর বর্তমানে ক্ষুদ্র নৃত্বাত্তিক জনগোষ্ঠির কেউ কোন ভাতার সুবিধা থেকে বঞ্চিত নয়। উন্নয়নের এই ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য আগামীতেও আমরা চেয়ারম্যান মতিনকে চাই। বনকেশরচকপাড়া গ্রামের আব্দুল জব্বার, বলেন আগে বর্ষা মৌসুমে গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে চলতে পারতাম না। হাটু কাঁদা মাড়িয়ে চলাচল করতে হতো। কিন্তু সেই রাস্তা পাকা করে দিয়েছে চেয়ারম্যান। আবার অনেক রাস্তায় সিসি ঢালাই দিয়েছেন। এছাড়াও পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।রাতে রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে স্টিট লাইটের ব্যবস্থা করেছেন। আমরা বর্তমানে অনেকটাই শহরের সুবিধা গ্রামে পেতে শুরু করেছি। ইউপি সদস্য রিয়াজ উদ্দিন বলেন সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় চেয়ারম্যান মতিন পরিষদে যে কোন বরাদ্দ কিংবা কাজ এলে মেম্বারদের নিয়ে প্রথমে তিনি পরামর্শ করেন। এরপর সমন্বয় করে কাজগুলো ভাগ করে দেন। বিগত সময়ে এই ইউনিয়নের আওতায় এই ধরনের কাজ কখনোই বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই বর্তমান চেয়ারম্যানের নিদের্শনা ও সহযোগিতায় আমরা মেম্বাররা নিজ নিজ এলাকায় উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাচ্ছি। পাাঁচন্দর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ( ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন এই ইউনিয়নকে তানোর উপজেলার মধ্যে একটি মডেল ইউনিয়নে পরিণত করতে চাই। মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গঠন করতে যা যা করার প্রয়োজন স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আমি সবার সহযোগিতা নিয়ে সেটা করতে চাই। উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে উন্নয়নের অব্যাহত রাখতে আসন্ন নির্বাচনে তিনি নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন।