সারোয়ার হোসেন : আগামী ১১ নভেম্বর আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ভোটে রাজশাহীর তানোর উপজেলার ৫নং তালন্দ ইউপি নির্বাচনে নৌকার মাঝি আবুল কাসেমের উপরেই আস্থা রাখতে চান ভোটারেরা। কারন বিগত ২০১৬ সালে দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে এ ইউপিতে আবুল কাসেম প্রথমবারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ব্যাপক উন্নয়ন করেন উদীয়মান চেয়ারম্যান আবুল কাসেম। ফলে এই নির্বাচনেও ভোটারেরা এলাকার বাকি উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে নিতে নৌকার মাঝি আবুল কাসেমের উপর জোরাল ভাবে ভুমিকা রাখছেন। এতে করে এই ইউপিতে নৌকার বিজয় এক প্রকার নিশ্চিত বলেও এই ইউপির তৃণমূলের ভোটারেরা জানান।
জানা গেছে, বিগত ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথমবারের মত আবুল কাসেম নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন। আবুল কাসেম তার নিজ এলাকায় ভোটারদের যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলের তার বেশির ভাগই পুরন করেছেন। যার কারনে ভোটারেরা পুনরায় তাকে নির্বাচিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কারন অন্য কাউকে বিজয়ী করলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থমকে যাবে এমন আওয়াজ ভোটের মাঠে বিরাজমান।
তালন্দ ইউপির ভোটার মামুন, মাহাবুর,বকুলসহ একাধিক ব্যক্তিরা জানান, বিগত ২০১৬ সালের নির্বাচনে আবুল কাসেম ভোটারদের পরিষ্কার ভাবে বলেছিল আমি নির্বাচিত হলে ইউনিয়ন পরিষদ হবে জনগণের।
তিনি সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকায় প্রচুর উন্নয়ন করেছেন। বিগত সময়ে অনেক নামি দামি চেয়ারম্যান ছিলেন। কিন্তু কেউ ইউনিয়ন পরিষদ ভবন তৈরি করতে পারেননি। কিন্তু নৌকা ফুটো করতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী প্রতিটি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীকে ভোট করতে মাঠে নামিয়েছেন। নৌকা দেওয়ার মালিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আর সেই নৌকাকে ফুটো করতে প্রার্থী দিয়েছেন সভাপতি গোলাম রাব্বানী। তিনি কীসের আওয়ামী লীগ করেন বুঝে আসেনা।
নৌকার মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বলেন, ইউনিয়নের বাকি উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করার জন্য ভোটারেরা নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমার বিশ্বাস তারা নৌকা প্রতীককে পুনরায় বিজয়ী করবেন। এই নির্বাচনে নৌকাকে ফুটো করতে একটি মহল বিদ্রোহী প্রার্থী দিয়েছেন। কিন্তু খুব একটা লাভ হবেনা। আবার বিএনপি ভোট বর্জন করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট করছেন। ভোটারদের বলব যেহেতু বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশ নিবেন না, তাহলে কেন আপনারা তাকে ভোট দিবেন। তিনি বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বলেও জানান। তিনি আশা করছে আগামী ১১ নভেম্বর ভোটারেরা দলমত নির্বিশেষে বাকি উন্নয়ন শেষ করতে পুনরায় নৌকাকে বিজয়ী করবেন বলে জানান।