ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের ভাঙ্গায় জোরপূর্বক বাদশা তালুকদার নামের এক ব্যবসায়ীর ভোগ দখলিকৃত জায়গা থেকে উচ্ছেদ করার অপচেষ্টা চালিয়েছে এক প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ। অভিযোগে প্রকাশ, দীর্ঘদিন যাবৎ জমিটি বাদশা তালুকদার ভোগ দখল করা সত্যেও সম্প্রতি প্রতিপক্ষ ইনু মল্লিক, সলিনা বেগম সহ বেশ কয়েকজন সংঘবদ্ধ হয়ে জায়গাটি দখল করে ঘর নির্মানের চেষ্টা চালায়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের চাড়াভিটা গ্রামে। এলাকায় প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘটনার শিকার ভোগ দখলকারী বাদশা তালুকদারের পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রায় ৩৫ বছর পূর্বে আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তির উপর জোরপূর্বক ঘর নির্মানের চেষ্টা চালায় একই ইউনিয়নের মুটরা গ্রামের ইনু মল্লিক ও তার স্ত্রী সলিনা বেগম। প্রায় ৪২ বছর আগে পার্শ্ববর্তী ওই গ্রামের আনছার শিকদার তার স্ত্রী মেহেরুন্নেছা ও তিন নাবালক কন্যা সন্তান রেখে মারা যান। আনছার শিকদার মারা যাওয়ার প্রায় বছর সাতেক পরে সংসারে অভাব ও দৈন্যদশা দেখা দিলে তার স্ত্রী মেহেরুন্নেছা তার তিন কন্যা সন্তানের অভিভাবক হয়ে এসএ-১৬,১৭,২৯ ও ৩০ নং দাগে ৪০ শতক জমি পাশ্ববর্তী একই গ্রামের বাদশা তালুকদার, সরোয়ার শেখ ও শফি মাতুব্বর গং এর নিকট বিক্রয় করেন। তারা দলিল মূলে জমিটি খরিদ করে প্রায় ৩৫ বছর যাবত ভোগদখল করে আসছিলেন। গত মঙ্গলবার আনছার শিকদারের বড় মেয়ে সলিনা বেগমের স্বামী ইনু মল্লিক তার স্ত্রীর পৈত্রিক সম্পত্তির ওয়ারিশ দাবি করেন। এক পর্যায়ে উক্ত জমিতে শশুর রাড়ির লোকজন সহ নিজ গ্রাম থেকে আসা ১০/১২ জন সংঘবদ্ধ হয়ে ধারালো অস্ত্রসস্ত্র দেখিয়ে জোরপূর্বক ওই জমিতে ঘর নির্মান করার অপচেষ্টা চালায়। এ সময় তারা বেশ কিছু গাছপালাও কর্তন করে। ইতিপূর্বে বিষয়টি মীমাংসার জন্য সলিনা বেগম ও তার স্বামী ইনু মল্লিক কাউলিবেড়া ইউনিয়নের গ্রাম আদালতে একটি অভিযোগ দেন।সেখানে কোন সুরাহা হওয়ার আগেই জোর পূর্বক জায়গা দখল করে ঘর নির্মানের চেষ্টা করেন তারা। এ ঘটনায় বাদশা তালুকদার, সরোয়ার শেখ ও শফি মাতুব্বরের লোকজন বাধা দিলে ইনু মল্লিকের লোকজন তাদেরকে জীবন নাসের হুমকীসহ নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন । এ ব্যাপারে ওই সম্পত্তির মালিক বাদশা তালুকদার বলেন, আমরা আনছার শিকদারের স্ত্রীর নিকট থেকে ৩৫ বছর আগে জমিটি ক্রয় করেছি। তখন তার তিন মেয়ে ছোট থাকায় তার মা তাদের অভিভাবক হয়ে জমিটি বিক্রয় করেন। তারা যদি আইনানুগভাবে জমিটি পায় অবশ্যই ছেড়ে দিবো।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হাসনাত দুদু মিয়া বলেন, একটি পক্ষ বিরাজমান বিষয়টি নিয়ে আমার দ্বারস্থ হয়েছে, কিন্ত বাদশা তালুকদার পক্ষ হাজির হলেও অপর পক্ষ উপস্থিত হননি। পরবর্তীতে বিবাদমান পক্ষগুলো উপস্থিত হলে তাদের সম্মতিতে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে