

সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ তরমুজ গাছ নষ্ট হওয়ার পর আহাজারি করছেন কৃষক ফজলু মোল্যা।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের বৈশখালী গ্রামের কৃষক ফজলু মোল্যার নিজের তিনবিঘার মত জমিতেই,প্রায় ৩ হাজার তরমুজ গাছ লাগিয়েছিলেন তিনি।
প্রতি বছরেই ফজলু মোল্যা তরমুজ চাষে সফলতা অর্জন করেন,প্রতিবারের মত কঠোর পরিশ্রম আর আর্থিক ব্যায়বহুল খরচ করে চাষ করে ছিল তরমুজ,সফলতা ও আসতে বাকি ছিলনা বেশি দিন,সবুজের ফাঁকে ফাঁকে হলুদ ফুল এ যেন উঁকি দিচ্ছিল কৃষকের সপ্ন,কিন্তু এর মধ্যে পূর্বের শত্রুতার জের ধরে গাছে ফল আসতে না আসতেই ক্ষতিকারক কীটনাশক স্প্রে করেন তার প্রতিবেশী কয়েকজন দুষ্টলোক।
সফল চাষী ফজলু মোল্ল্যা জানান,একাধিক এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ও আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ধার করে তরমুজ চাষে মোট আড়াই লাখ টাকার মত খরচ করেছিলেন,তরমুজের ফুল ফলনও গাছের লক্ষণ ছিল খুবই সুন্দর ভালোই ছিল সবকিছু,আর ১ মাস গেলেই বাজারে বিক্রি করতে পারতেন তরমুজ।
কিন্তু গতকয়েকদিন আগে এ ঘটনার পর তার স্বপ্ন গেছে ভেঙ্গে।
তার অভিযোগ,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আনারুল,হাসান,আফজাল, রাতে তার নতুন গাছে ফলন্ত তরমুজ ক্ষেতে ক্ষতিকারক ঘাস মারা কীটনাশক স্প্রে করে,যাহার পরিপ্রেক্ষিতে গাছগুলো পাতা কুচড়ে শুকিয়ে,গাছের গোড়া পছন ধরছে।
ফজলু মোল্যার স্ত্রী কান্না করতে করতে দৈনিক একুশের কন্ঠ এর প্রতিবেদককে বলেন,আমার স্বামীর সঙ্গে এখানে কাজ করেছি,অনেক ধার দেনা ও করেছি,এখন এই টাকা কীভাবে শোধ দেবো জানি না আমরা প্রতিবছর এখানে তরমুজ চাষ করি এবং লাভ ও হয়ে থাকে,এবছর আনুমানিক দশ লক্ষ টাকা বেচাকেনা হতো বলে আশাবাদী ছিলাম।
দিশেহারা এই কৃষক ফজলু মোল্লা ও তার গ্রামের মানুষ সহ কৈখালী ইউনিয়নের তরমুজ চাষারা সহ সকল ধরনের চাষীরা এমন জঘন্যতম কাজের নিন্দা জানিয়ে জেলা প্রশাসক সহ উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।