মোহনপুর প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর কেশরহাটে একজন ভূমিহীন পান বিক্রেতার সাথে প্রতারণা করেছেন একই এলাকার আলহাজ্ব মো. আশরাফুল ইসলাম মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। গতকাল রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি আলহাজ্ব মো. আশরাফুল ইসলামের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। এজন্য তিনি সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
প্রতিবাদের তিনি বলেন, সংবাদে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়েছে। সংবাদে বলা হয়েছে, ‘হাজী আশরাফুল ইসলাম সম্পুর্ণ টাকার নিয়ে ওই দুই শতক জমি আনারুলকে রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার কথা থাকলেও হাজী আশরাফুল নানা তালবাহানা শুরু করেন’। সংবাদের এই অংশ সম্পুর্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমার সম্মানহানির উদ্দেশ্যে সংবাদটি প্রচার করা হয়েছে।
প্রতিবাদে তিনি আরো যা বলেন, মুলত আনারুল ইসলাম জমিটির ৫০ হাজার টাকা বায়নামা করেন তার খালা ফেরদৌসী বেগমের মাধ্যমে। এরপর জমির রেজিষ্ট্রেশনের জন্য বলা হলে আনারুল ইসলাম জমির টাকা পরিশোধে উল্টো গড়িমসি শুরু করলে তার খালা ফেরদৌসী বেগম সম্পুর্ন টাকা পরিশোধ করে জমিটি রেজিস্ট্রিকরণ সম্পুর্ন করে নেন। এসময় আনারুল ইসলামের দেয়া বায়নামার টাকা ফেরত নিতে বলা হলে আনারুল ইসলাম টাকা নিতে অস্বীকার করেন। বর্তমানে আনারুল ইসলামের টাকা সংরক্ষিত রয়েছে। আনারুল ইসলামকে টাকা ফেরতের জন্য বলা হলেও সে টাকা না নিয়ে উল্টো পৌরসভায় অভিযোগ দিয়েছেন। যা আমি সংবাদ সূত্রে জানতে পারি। এসময় আলহাজ্ব মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, আনারুল ইসলামের সাথে দু-শতক জমির বায়নামা হয়েছে। যদি সে জমি নিতে চাই তাহলে আমি অন্য যায়গায় জমি দিতে পারবো।
আনারুল ইসলামের খালা ফেরদৌসী বেগম বলেন, জমিটির বায়নামা আমার মাধ্যমে করা হয়েছে। পরবর্তীতে জমির দলিল করে রেজিস্ট্রি করার জন্য বলা হলে আনারুল ইসলাম উল্টো টাকা দিতে টালবাহানা করতে থাকে। একারণে সম্পুর্ন জমির টাকা আমি পরিশোধ করে দিয়ে রেজিস্ট্রি করে নিয়েছি। এঘটনায় আলহাজ্ব মো. আশরাফুল ইসলামের কোন দোষ নেই। সব দোষ আনারুল ইসলামের।