ডেস্ক নিউজ ঃ বিএনপির দাবি মেনে কেন সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সেটি জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বরং বিএনপি নেতাদেরই পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে বৃহস্পতিবার এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি এক দশক ধরেই সরকারের পদত্যাগ দাবি করছে। তারা নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে তাদের অধীনে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি করছে।
বিএনপির এসব দাবির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কেন পদত্যাগ করব? গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে।
‘জনগণ মনে করে আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার দায়ে, বিএনপি নেতাদের টপ টু বটম পদত্যাগ করা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেলসহ অনেক বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। দেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে গেছে। শেখ হাসিনা সারা দেশে আলোয় আলোকিত করেছেন, বিএনপি নেতারা চোখে ঠুলি পরেছেন। তাই তারা দিনের আলোয় অন্ধকার দেখেন।’
সারা বিশ্বে তেল, জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার পরও দেশে সরকার ভারসাম্য রাখতে পেরেছে বলেও মনে করেন।
আওয়ামী লীগের ফরিদপুর কমিটিতে দলের ত্যাগী ও দুঃসময়ের নেতাদের নেতৃত্বে আনার আহ্বানও জানান কাদের। বলেন, ‘টাকা পাচারকারী, ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজসহ অপকর্মের সঙ্গে যুক্তরা যেন কমিটিতে না আসতে পারে।
‘পাশাপাশি যারা বিভিন্ন নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করেছেন, তারাও যেন কমিটিতে পদ না পায় সে বিষয়ে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন।’
ফরিদপুর একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর ফরিদপুর জেলাকে ঘিরে একটি আঞ্চলিক মহাসড়কের পরিকল্পনা রয়েছে। ফরিদপুর থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত সড়ক চার লেনের হবে।’
দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হলে দ্বিতীয় সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে। দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়া সেতু করা হবে নাকি টানেল করা হবে তা ওই স্টাডি থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে আয়োজনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, আবদুর রাজ্জাক, শাহজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এবং ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।