হিলি প্রতিনিধিঃ- দেশের বাজারে দাম স্বাভাবিক রাখতে সরকার আইপি অনুমোদন দেবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে ভারত থেকে কাঁচা মরিচের আমদানি। আমদানি শুরুর দুই দিনের মাথায় স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা বাজারে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। প্রকারভেদে কেজিতে কমেছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।

আজ মঙ্গলবার সকালে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়,রবিবার প্রথমদিন আমদানি শুরু হয়,সেদিন পাইকারি ও খুচরা বাজারে আমদানিকৃত প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছিলো ১১০ থেকে ১২০ টাকা। সেই মরিচ আজ মঙ্গলবার কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে কেজিতে ২০ টাকা কমে প্রতিকেজি দেশীয় কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে।

এদিকে আমদানির ফলে দাম কমে আসতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। হিলি বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা রফিক নামের একজন ক্রেতা জানান,এক সপ্তাহ আগে আমি কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে কিনছি কিন্তু এখন আমদানি শুরুর কারনে দাম কমে আসছে। দুই দিন আগে হিলি দিয়ে আমদানি হচ্ছে কাঁচা মরিচ ফলে দাম কমে আসতে শুরু করেছে। এতে আমাদের সাধারণ ক্রেতাদের জন্য অনেক ভালো হয়েছে।

হিলি বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা মিঠু জানান,আমদানির ফলে হিলি বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়েছে। যার ফলে কাঁচা মরিচের দামও কমে আসছে। দাম কমার ফলে আমাদের বেচা-কেনা বেড়েছে,ক্রেতারাও কম দামে কিনতে পেরে খুশি।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান,আমাদের হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু করেছে।ফলে বাজারে দাম কমে আসতে শুরু করেছে। তবে মরিচ আমদানি করে আমাদের পত্তা হচ্ছে না।বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ আমদানিতে সরকারকে শুল্ক দিতে হচ্ছে প্রায় ২৬ টাকা এবং অনন্য খরচ দিয়ে এক কেজি কাঁচা মরিচ আনতে গুনতে ৮০/৮৫ টাকা।আর আমাদের দেশের বাজারেই এখন মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০/৯০ টাকা।

হিলি শুল্ক স্টেশনের উপ-কমিশনার কামরুল ইসলাম জানান,হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। গেলো দুই দিনে ভারতীয় ৩টি ট্রাকে ৩৬ হাজার ৭৮ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে যেখান থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ৯ লক্ষ ৩৬ হাজার ৭শ ৯৯ টাকা।আমদানি বাড়লে সরকারের রাজস্বও বাড়বে।

তিনি আরো জানান,আমদানিকৃত সকল পচনশীল কাঁচা পণ্য দ্রুত ছাড়করণের জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে