লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃলালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এখানকার উৎপাদিত সবজি, চাল ও ডাল সরিষা সারাদেশে বিখ্যাত। গত মৌসুমের শেষ দিকে সরিষার দাম ভালো থাকায় এ বছর কৃষকরা ব্যাপকভাবে সরিষা চাষ করেছেন। বর্তমানে উপজেলার মাঠগুলোতে সরিষার হলুদ ফুল শোভা পাচ্ছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষা চাষে লাভ বেশি হওয়ায় সরিষা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে।
জানা যায়, আদিতমারী উপজেলায় এ বছর ৫৩৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর সরিষার আবাদ বেশি হয়েছে। এখানকার উৎপাদিত সবজি, চাল ও ডাল সরিষা সারাদেশে বিখ্যাত। এখন ক্ষেতের পর মাঠ সরিষার হলুদ ফুলে ভরা। শিশিরে ভেজা সরিষার হলুদ ফুলের ডগায় কৃষকের রঙিন স্বপ্ন দোল খায়। গত মৌসুমের শেষ দিকে সরিষার বাজার দর ভালো থাকায় চলতি মৌসুমে সরিষা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেশি। এ বছরও সরিষার ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন কৃষকরা।
উপজেলার সরিষা শর্বেশ্বর ও মোঃ সাইফুল ইসলাম চাষিরা জানান, সরিষা চাষে তেমন খরচ হয় না। কম খরচে এটি খুবই লাভজনক। সরিষার ফলনও অন্যান্য ফসলের তুলনায় বেশি। চলতি মৌসুমে বিঘা প্রতি ৭-৯ মণ সরিষা পাওয়া যাবে। যার বর্তমান বাজার মূল্য চার হাজার টাকার বেশি।
কৃষকরা আরো জানান, সরিষা চাষের ফলে তারা আমন ও বোরো ধানের মধ্যে বাড়তি ফসল পান। সরিষা বিক্রির আয় থেকে বোরো আবাদের খরচ মেটাতে পারি। এছাড়া তাদের পরিবারের খাবারের জন্য সকালের নাস্তার তরকারি ও রান্নার তেলের চাহিদাও পূরণ হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, গত মৌসুমে বাজারে সয়াবিনের দাম বেশি ছিল। তবে এ বছর সরিষার চাহিদা বেড়েছে। এছাড়া কৃষকরাও ব্যাপকভাবে সরিষা চাষ করেছেন । এ বছরও সরিষার বাজারদর ভালো। বিশেষ করে কৃষকরা তামাক চাষে ঝুঁকি না নিয়ে সরিষা চাষ করে লাভবান হতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, চলতি মৌসুমে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৫৩০ হেক্টর হলেও এ বছর বেশি চাষ হচ্ছে। চলতি মৌসুমে উপজেলার ১ হাজার ৬শ কৃষককে কৃষি প্রণোদনার অংশ হিসেবে বিনামূল্যে সরিষা বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। আমরা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি। আশা করছি গত বছরের তুলনায় এ বছর সরিষা চাষে লাভবান হবেন কৃষকরা।