ঢাকা ব্যুরো ঃ রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সিটি প্লাজায় যাওয়ার পথে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসে ওঠে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন এক ব্যবসায়ী। বাসে কে বা কারা সুকৌশলে তাকে চেতনানাশক কিছু খাইয়ে দেয়। গাড়িতে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে রামপুরায় তাকে নামিয়ে দেয়া হয়।
মো. ফারুক হোসেন নামের ব্যাবসায়ীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তার স্টোমাক ওয়াশ করেন। এর পর তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়।
রোববার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় ভাগিনা এনামুল ইসলাম শুভ এবং পথচারী ইঞ্জিনিয়ার সাইমুর রহমান অভি তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন।
ফারুক হোসেনের ভাগিনা এনামুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মামা নরসিংদী রায়পুরা বাজারে ব্যাংকক বাজার নামে একটি জুতার দোকানের মালিক।
মামা সন্ধ্যা ৭টার দিকে এক প্যাকেটে আড়াই লাখ টাকা, অন্য পকেট আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ঢাকার ফুলবাড়িয়া সিটি প্লাজায় নিজের দোকানের জন্য জুতা কিনতে আসেন। বাসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন। পরে রাস্তার পাশে অচেতন অবস্থায় পড়েছিল। এ সময় একজন পথচারী (ইঞ্জিনিয়ার) মামার পকেটে থাকা নোটবুক থেকে আমার মোবাইলে ফোন দেন। আমি এবং ওই ইঞ্জিনিয়ারসহ মামাকে ঢাকা মেডিক্যাল নিয়ে আসি।’
তিনি বলেন, ‘আমার মামা রায়পুরা বাজার এলাকায় একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। শুধু এই টাকা নয়, অনেক সময় ৫/৬ লাখ টাকা নিয়ে সে ঢাকায় এসে জুতা কেনেন। দুর্ভাগ্যের বিষয় আজ কিভাবে (প্রতারক চক্র) অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে মামার সর্বস্ব লুট হয়ে গেলো। মামার পকেটে থাকা আনুমানিক পৌনে তিন লাখ টাকা এবং একটি দামি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় প্রতারক চক্র।’
তিনি আরও বলেন আমাদের বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুর থানা বাজার এলাকায়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন ‘পুলিশ এবং র্যাবের অভিযানে গত ১০ দিনে অন্ততপক্ষে ৪০ জন অজ্ঞান পার্টির সদস্য গ্রেপ্তার হলেও এখনও তাদের কার্যক্রম চালু আছে।
রোববার রাতে গুলিস্তানের ফুলবাড়ি থেকে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের খপ্পরে পড়ে অচেতন অবস্থায় একজন ব্যবসায়ীকে ঢাকা মেডিক্যাল নিয়ে আসার পর ভর্তি রাখা হয় বিষয়টি শাহবাগ থানাকে জানানো হয়েছে।